গঠনতন্ত্র

সংগঠনটির নাম হবে “নবছায়া”। ইংরেজীতে “NoboChaya” এবং আরবীতে “” নামে অভিহিত হবে।
সংগঠনের স্লোগান হবে- “একটি সুন্দর সমাজ বিনীর্মাণের লক্ষ্যে”। ইংরেজীতে – “Aiming to build a pretty society,”

“নবছায়া” ২০১৪ সালে কুমিল্লা জেলার, মুরাদনগর উপজেলা, ১০ নং যাত্রাপুর ইউনিয়নের, যাত্রাপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয়।

“নবছায়া” এর নিজস্ব মনোগ্রাম থাকবে। অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেওয়া মনোগ্রাম-ই “নবছায়া” এর মনোগ্রাম বলে বিবেচিত হবে।

“নবছায়া” এর কার্যালয় যাত্রাপুর গ্রামের যেকোনো জায়গায় অস্থায়ী ভিত্তিতে স্থাপিত হবে। সংগঠনের আর্থিক সঙ্গতি বৃদ্ধি সাপেক্ষে যাত্রাপুর গ্রামের যে কোন সুবিধাজনক স্থানে নিজস্ব অথবা ভাড়া করা ভবনে সংগঠনের স্থায়ী কার্যালয় স্থাপন করা হবে।

“নবছায়া” সম্পূর্ণ স্বাধীন, সামাজিক, অধূমপায়ী, অরাজনৈতিক, সেচ্ছাসেবী মনোভাবাপন্ন সংগঠন। এই সংগঠন অন্য কোন সংগঠনের অঙ্গসংগঠন হিসেবে কাজ করবে না। কোন রাজনৈতিক, ব্যক্তি স্বার্থে বা উদ্দেশ্যে এই সংগঠনটি ব্যবহার করা হবে না।

“নবছায়া” এর চুড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত করা এবং সার্বিকভাবে সাহায্য সহযোগিতা করা।

এর ৭ টি কর্মসূচি:
  • যে কোন সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ করা। (বয়সভিত্তিক বাংলা অর্থ সহ আল-কুরআন শিক্ষা দান।)
  • সমাজে দরিদ্রদের অর্থ সহ সার্বিকভাবে সাহায্য সহযোগিতা করা। (মাসিক, বাৎসরিক ওয়াজের মাধ্যমে হাদিস সহ মাসলাহ-মাসায়েল শিক্ষা দান।)
  • শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনামূলক প্রচারনা চালানো।
  • কৃতী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা প্রদান করা। (পাঠাগার পরিচালনা করা ও মানসম্মত ইসলামি বই বিতরণ।)
  • দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ।
  • ব্লাড ক্যাম্পেইন এন্ড ব্লাড ম্যানেজিং।
  • নির্দিষ্ট সময় স্কুল, মাদ্রাসায় কুইজ প্রতিযোগিতা।

  • আবেদনকারীর বয়স ১৪ থেকে ৩৫ এর মধ্যে হতে হবে।
  • আবেদনকারীকে যাত্রাপুর গ্রামের বাসিন্দা হতে হবে।
  • ভদ্র, রুচিশীল, অধূমপায়ী, উদ্যোমী, সদাচারী ও মননশীল হতে হবে।

সদস্য পদের জন্য নির্ধারিত ফরমে অথবা অনলাইনে আবেদন করতে হবে। যে কোন আবেদনকারীর সদস্য পদে অর্ন্তভূক্তির ব্যাপারে কার্যকরী পরিষদের রায়ই চুড়ান্ত বলে গন্য হবে।

নিম্নোক্ত কারণে একজন সদস্যের সদস্য পদ বাতিল করা হবে:
  • কোন সদস্যের বিরুদ্ধে দেশ বিরোধী কাজের অভিযোগ প্রমাণিত হলে।
  • কোন সদস্যের বিরুদ্ধে সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কাজ প্রমাণিত হলে।
  • কোন সদস্যের বিরুদ্ধে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থি ও আর্থিক ক্ষতির সাথে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হলে।
  • সদস্য নিজে সভাপতির নিকট সদস্য পদ বাতিলের আবেদন করে।
সদস্য পদ বাতিলের পূর্বে উক্ত সদস্যকে দু’ সপ্তাহের মধ্যে কার্যকারণ দর্শানো নোটিশ এবং তার বক্তব্য (যদি থাকে) তা প্রদানের সুযোগ দেওয়া হবে।

সংগঠনের সাংগঠনিক কাঠামো নিম্নরূপ হবেঃ
  • সাধারণ পরিষদ
  • কার্যকরী পরিষদ
  • উপদেষ্টা পরিষদ
উক্ত পরিষদ সমূহের ধরণঃ
  • সাধারণ পরিষদঃ অত্র সংগঠনের সকল সদস্য সাধারণ পরিষদের সদস্য।
  • কার্যকরী পরিষদঃ ধারা ১২ এবং ১৩ দেখুন।
  • উপদেষ্টা পরিষদঃ ধারা ১৬ দেখুন।

কার্যকরী পরিষদের গঠন হবে নিম্নরূপঃ
  • সভাপতি – ১ জন
  • সহ-সভাপতি – ১ জন
  • সাধারন সম্পাদক – ১ জন
  • সহ-সাধারন সম্পাদক- ১ জন
  • সাংগঠনিক সম্পাদক – ১ জন
  • সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক -১ জন
  • হিসাবরক্ষক -১ জন
  • দপ্তর সম্পাদক -১ জন
  • প্রচার সম্পাদক -১ জন
শর্তাবলী:
  • কার্যকরী পরিষদের মেয়াদ ১ (এক) বছর হবে।
  • একই ব্যক্তি একের অধিক পদে থাকতে পারবে না।
  • কার্যকরী পরিষদের গঠনের ৩০-৪৫ দিন পূর্বে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব সংগঠনের সদস্য কিংবা উপদেষ্টাদের মধ্যে সর্বসম্মতিক্রমে দেওয়া হবে।
  • সকল সদস্য ভোটের মাধ্যমে কার্যকরী পরিষদ নির্বাচিত করবেন।
  • অথবা দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সম্মতিতে সিলেকশন পদ্ধতিতে নির্বাচন কমিশন দ্বারা কার্যকরী পরিষদ গঠন করা হবে।

সভাপতি: সভাপতি সংগঠনের প্রধান। তিনি পদাধিকারবলে সকল সভায় সভাপতিত্ব করেন। সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষেত্রে তিনি ভোটদানের অধিকারি নন। তবে অচলাবস্থা নিরসনের জন্য তিনি কাস্টিং ভোট দিতে পারেন। সংগঠনের গঠনতন্ত্রের প্রতিটি ধারার যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা তার দায়িত্ব।

সহ-সভাপতি: সহ-সভাপতি সভাপতির সকল কাজে সহায়তা করেন। সভাপতির অনুপস্থিতিতে সহ-সভাপতি (একাধিক থাকলে ক্রমিক অনুসারে) সভাপতির দায়িত্ব ও ক্ষমতার অধিকারি হন। এ ছাড়াও তিনি তার উপর অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করেন।

সাধারন সম্পাদক: সাধারন সম্পাদক সংগঠনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি সভাপতির পরামর্শক্রমে সংগঠনের সভা আহ্বান করেন। তিনি প্রয়োজনবোধে অন্যান্য কর্মকর্তার ওপর বিভিন্ন দায়িত্ব অর্পন করেন এবং তাদের কাজের মধ্যে সংযোগ ও সমন্বয় সাধন করেন। সংগঠনের দৈনন্দিন কার্যকলাপের জন্যে দায়ি থাকেন। প্রতিটি সভায় তিনি সংগঠনের কার্যাবলীর রিপোর্ট পেশ করেন।

সহ-সাধারন সম্পাদক: তিনি সাধারন সম্পাদকের সকল কাজে সহায়তা করেন। সাধারন সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তিনি (ক্রমিক অনুসারে) সাধারন সম্পাদকের সকল দায়িত্ব ও ক্ষমতার অধিকারি হন। এছাড়াও তার উপর অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করেন।

সাংগঠনিক সম্পাদক: সাংগঠনিক সম্পাদক সংগঠনের সকল অনুষ্ঠানের আয়োজন সম্পাদন এবং অন্যান্য কাজে সহযোগিতা করে থাকেন। তার সকল কর্মকান্ড কার্যকরী পরিষদের দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে।

সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক: তিনি সাংগঠনিক সম্পাদককে সহযোগিতা করেন এবং তার অনুপস্থিতিতে সকল দায়িত্ব পালন করেন।

হিসাবরক্ষক: হিসাবরক্ষক সংগঠনের সব ধরনের অর্থনৈতিক হিসাব রাখেন এবং প্রতি তিন মাস পরপর হিসাব প্রদান করেন। সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি তার প্রস্তুতকৃত হিসাবের প্রতিটি প্রকরণ যাচাই করে স্বাক্ষর প্রদান করবেন।

দপ্তর সম্পাদক: দপ্তর সম্পাদক সংগঠনের সকল গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সংরক্ষণ করেন। সার্বিক কার্যক্রমের কাগজপত্র, বিভিন্ন নথি, নোটিস, রেজিস্টার ইত্যাদি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করেন এবং সমস্ত কার্যাবলী সংগঠনের অভ্যন্তরে সংরক্ষণ করেন।

প্রচার সম্পাদক: প্রচার সম্পাদক সংগঠনের সকল কার্যক্রমের প্রচার, বিজ্ঞপ্তি ও জনসাধারণের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার দায়িত্ব পালন করেন।

সাধারণ পরিষদ সংগঠনের সকল সদস্য নিয়ে গঠিত। সাধারণ পরিষদের সভা বছরে অন্তত একবার আহ্বান করা হবে। সাধারণ পরিষদের সভায় সংগঠনের কর্মকান্ড, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, এবং যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করা হবে।

উপদেষ্টা পরিষদ সংগঠনের সম্মানিত সদস্যদের নিয়ে গঠিত হবে। এই পরিষদ সংগঠনের পরিকল্পনা, নীতিমালা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় পরামর্শ প্রদান করবে।

  • নির্বাচন কিভাবে অনুষ্ঠিত হবে, তা নির্বাচন কমিশন দ্বারা নির্ধারিত হবে।
  • নির্বাচন কমিটি সংগঠনের সকল সদস্যের মধ্যে নিযুক্ত হবে।
  • নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ভোট গ্রহণ ও গণনা সম্পন্ন করা হবে।

  • সংগঠনের অর্থ সবার দান ও সদস্যদের ফি দ্বারা অর্জিত হবে।
  • অর্থের সকল ব্যবস্থাপনা ও হিসাব কার্যকরী পরিষদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে।

সংগঠনের সকল কার্যক্রম গঠনতন্ত্র ও পদ্ধতিগত নিয়ম অনুযায়ী পরিচালিত হবে। নিয়মবিধি ও পরিবর্তন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত সাধারণ পরিষদের সভায় গৃহীত হবে।

  • গঠনতন্ত্রের কোনো অংশ পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে সাধারণ পরিষদের সভায় প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হবে।
  • পরিবর্তন স্বীকৃতির জন্য দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সম্মতি প্রয়োজন।

  • সকল সদস্য সংগঠনের কার্যক্রমে অংশগ্রহণের অধিকারী।
  • সদস্যদের পরামর্শ ও মতামত দেওয়ার অধিকার থাকবে।
  • সদস্যদের সমান সুযোগ ও সুবিধা প্রদান করা হবে।

এই গঠনতন্ত্র সংগঠনের মৌলিক বিধি ও নীতি নির্ধারণ করে এবং সংগঠনের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য একটি দিকনির্দেশনা প্রদান করে। সকল সদস্যদের এই গঠনতন্ত্রের প্রতি সম্মান ও আনুগত্য থাকা উচিত এবং সকল কার্যক্রমকে এই গঠনতন্ত্রের আওতায় পরিচালিত করা উচিত।

জারিকৃত আইন সমূহ

জারি তারিখ: ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বিষয়: নবছায়ার সদস্যদের অন্য সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততা সংক্রান্ত আইন

নবছায়ার আইন ও বিচার বিভাগের আহ্বানে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় উপরোক্ত বিষয়ের আইন বাস্তবায়ন সংক্রান্ত আলোচনা হয়। কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সদস্যদের ভোটের ভিত্তিতে উপরোক্ত বিষয়ে নিম্ন লিখিত আইনটি পাশ করা হয়।

আইন: “নবছায়ার কোনো সদস্য যাত্রাপুর গ্রামের অন্য কোনো সংগঠনের সাথে (শুধু মাত্র যাত্রাপুর গ্রামের) কোনোভাবে সম্পৃক্ত থাকতে পারবেন না।”

শাস্তি:

  • যদি কোনো সদস্য যাত্রাপুর গ্রামের অন্য কোনো সংগঠনে সদস্যপদ গ্রহণ করেন বা সেখানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • এমন পরিস্থিতিতে নবছায়ার কার্যনির্বাহী কমিটি সংশ্লিষ্ট সদস্যের সদস্য পদ বাতিল বা তাকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে।

কার্যকর তারিখ: এই আইন ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখ থেকে কার্যকর হবে এবং সকল সদস্যকে এ আইন মেনে চলতে হবে।