গঠনতন্ত্র
সংগঠনের স্লোগান হবে- “একটি সুন্দর সমাজ বিনীর্মাণের লক্ষ্যে”। ইংরেজীতে – “Aiming to build a pretty society,”
- যে কোন সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ করা। (বয়সভিত্তিক বাংলা অর্থ সহ আল-কুরআন শিক্ষা দান।)
- সমাজে দরিদ্রদের অর্থ সহ সার্বিকভাবে সাহায্য সহযোগিতা করা। (মাসিক, বাৎসরিক ওয়াজের মাধ্যমে হাদিস সহ মাসলাহ-মাসায়েল শিক্ষা দান।)
- শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনামূলক প্রচারনা চালানো।
- কৃতী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা প্রদান করা। (পাঠাগার পরিচালনা করা ও মানসম্মত ইসলামি বই বিতরণ।)
- দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ।
- ব্লাড ক্যাম্পেইন এন্ড ব্লাড ম্যানেজিং।
- নির্দিষ্ট সময় স্কুল, মাদ্রাসায় কুইজ প্রতিযোগিতা।
- আবেদনকারীর বয়স ১৪ থেকে ৩৫ এর মধ্যে হতে হবে।
- আবেদনকারীকে যাত্রাপুর গ্রামের বাসিন্দা হতে হবে।
- ভদ্র, রুচিশীল, অধূমপায়ী, উদ্যোমী, সদাচারী ও মননশীল হতে হবে।
- কোন সদস্যের বিরুদ্ধে দেশ বিরোধী কাজের অভিযোগ প্রমাণিত হলে।
- কোন সদস্যের বিরুদ্ধে সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কাজ প্রমাণিত হলে।
- কোন সদস্যের বিরুদ্ধে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থি ও আর্থিক ক্ষতির সাথে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হলে।
- সদস্য নিজে সভাপতির নিকট সদস্য পদ বাতিলের আবেদন করে।
- সাধারণ পরিষদ
- কার্যকরী পরিষদ
- উপদেষ্টা পরিষদ
- সাধারণ পরিষদঃ অত্র সংগঠনের সকল সদস্য সাধারণ পরিষদের সদস্য।
- কার্যকরী পরিষদঃ ধারা ১২ এবং ১৩ দেখুন।
- উপদেষ্টা পরিষদঃ ধারা ১৬ দেখুন।
- সভাপতি – ১ জন
- সহ-সভাপতি – ১ জন
- সাধারন সম্পাদক – ১ জন
- সহ-সাধারন সম্পাদক- ১ জন
- সাংগঠনিক সম্পাদক – ১ জন
- সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক -১ জন
- হিসাবরক্ষক -১ জন
- দপ্তর সম্পাদক -১ জন
- প্রচার সম্পাদক -১ জন
- কার্যকরী পরিষদের মেয়াদ ১ (এক) বছর হবে।
- একই ব্যক্তি একের অধিক পদে থাকতে পারবে না।
- কার্যকরী পরিষদের গঠনের ৩০-৪৫ দিন পূর্বে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব সংগঠনের সদস্য কিংবা উপদেষ্টাদের মধ্যে সর্বসম্মতিক্রমে দেওয়া হবে।
- সকল সদস্য ভোটের মাধ্যমে কার্যকরী পরিষদ নির্বাচিত করবেন।
- অথবা দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সম্মতিতে সিলেকশন পদ্ধতিতে নির্বাচন কমিশন দ্বারা কার্যকরী পরিষদ গঠন করা হবে।
সহ-সভাপতি: সহ-সভাপতি সভাপতির সকল কাজে সহায়তা করেন। সভাপতির অনুপস্থিতিতে সহ-সভাপতি (একাধিক থাকলে ক্রমিক অনুসারে) সভাপতির দায়িত্ব ও ক্ষমতার অধিকারি হন। এ ছাড়াও তিনি তার উপর অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করেন।
সাধারন সম্পাদক: সাধারন সম্পাদক সংগঠনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি সভাপতির পরামর্শক্রমে সংগঠনের সভা আহ্বান করেন। তিনি প্রয়োজনবোধে অন্যান্য কর্মকর্তার ওপর বিভিন্ন দায়িত্ব অর্পন করেন এবং তাদের কাজের মধ্যে সংযোগ ও সমন্বয় সাধন করেন। সংগঠনের দৈনন্দিন কার্যকলাপের জন্যে দায়ি থাকেন। প্রতিটি সভায় তিনি সংগঠনের কার্যাবলীর রিপোর্ট পেশ করেন।
সহ-সাধারন সম্পাদক: তিনি সাধারন সম্পাদকের সকল কাজে সহায়তা করেন। সাধারন সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তিনি (ক্রমিক অনুসারে) সাধারন সম্পাদকের সকল দায়িত্ব ও ক্ষমতার অধিকারি হন। এছাড়াও তার উপর অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করেন।
সাংগঠনিক সম্পাদক: সাংগঠনিক সম্পাদক সংগঠনের সকল অনুষ্ঠানের আয়োজন সম্পাদন এবং অন্যান্য কাজে সহযোগিতা করে থাকেন। তার সকল কর্মকান্ড কার্যকরী পরিষদের দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে।
সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক: তিনি সাংগঠনিক সম্পাদককে সহযোগিতা করেন এবং তার অনুপস্থিতিতে সকল দায়িত্ব পালন করেন।
হিসাবরক্ষক: হিসাবরক্ষক সংগঠনের সব ধরনের অর্থনৈতিক হিসাব রাখেন এবং প্রতি তিন মাস পরপর হিসাব প্রদান করেন। সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি তার প্রস্তুতকৃত হিসাবের প্রতিটি প্রকরণ যাচাই করে স্বাক্ষর প্রদান করবেন।
দপ্তর সম্পাদক: দপ্তর সম্পাদক সংগঠনের সকল গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সংরক্ষণ করেন। সার্বিক কার্যক্রমের কাগজপত্র, বিভিন্ন নথি, নোটিস, রেজিস্টার ইত্যাদি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করেন এবং সমস্ত কার্যাবলী সংগঠনের অভ্যন্তরে সংরক্ষণ করেন।
প্রচার সম্পাদক: প্রচার সম্পাদক সংগঠনের সকল কার্যক্রমের প্রচার, বিজ্ঞপ্তি ও জনসাধারণের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার দায়িত্ব পালন করেন।
- নির্বাচন কিভাবে অনুষ্ঠিত হবে, তা নির্বাচন কমিশন দ্বারা নির্ধারিত হবে।
- নির্বাচন কমিটি সংগঠনের সকল সদস্যের মধ্যে নিযুক্ত হবে।
- নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ভোট গ্রহণ ও গণনা সম্পন্ন করা হবে।
- সংগঠনের অর্থ সবার দান ও সদস্যদের ফি দ্বারা অর্জিত হবে।
- অর্থের সকল ব্যবস্থাপনা ও হিসাব কার্যকরী পরিষদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে।
- গঠনতন্ত্রের কোনো অংশ পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে সাধারণ পরিষদের সভায় প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হবে।
- পরিবর্তন স্বীকৃতির জন্য দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সম্মতি প্রয়োজন।
- সকল সদস্য সংগঠনের কার্যক্রমে অংশগ্রহণের অধিকারী।
- সদস্যদের পরামর্শ ও মতামত দেওয়ার অধিকার থাকবে।
- সদস্যদের সমান সুযোগ ও সুবিধা প্রদান করা হবে।
এই গঠনতন্ত্র সংগঠনের মৌলিক বিধি ও নীতি নির্ধারণ করে এবং সংগঠনের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য একটি দিকনির্দেশনা প্রদান করে। সকল সদস্যদের এই গঠনতন্ত্রের প্রতি সম্মান ও আনুগত্য থাকা উচিত এবং সকল কার্যক্রমকে এই গঠনতন্ত্রের আওতায় পরিচালিত করা উচিত।
জারিকৃত আইন সমূহ
জারি তারিখ: ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
বিষয়: নবছায়ার সদস্যদের অন্য সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততা সংক্রান্ত আইন
নবছায়ার আইন ও বিচার বিভাগের আহ্বানে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় উপরোক্ত বিষয়ের আইন বাস্তবায়ন সংক্রান্ত আলোচনা হয়। কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সদস্যদের ভোটের ভিত্তিতে উপরোক্ত বিষয়ে নিম্ন লিখিত আইনটি পাশ করা হয়।
আইন: “নবছায়ার কোনো সদস্য যাত্রাপুর গ্রামের অন্য কোনো সংগঠনের সাথে (শুধু মাত্র যাত্রাপুর গ্রামের) কোনোভাবে সম্পৃক্ত থাকতে পারবেন না।”
শাস্তি:
- যদি কোনো সদস্য যাত্রাপুর গ্রামের অন্য কোনো সংগঠনে সদস্যপদ গ্রহণ করেন বা সেখানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
- এমন পরিস্থিতিতে নবছায়ার কার্যনির্বাহী কমিটি সংশ্লিষ্ট সদস্যের সদস্য পদ বাতিল বা তাকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে।
কার্যকর তারিখ: এই আইন ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখ থেকে কার্যকর হবে এবং সকল সদস্যকে এ আইন মেনে চলতে হবে।